প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট পদক পেলেন ওমর

সিঙ্গাপুরে ভালো কাজের সম্মানস্বরূপ ‘প্রেসিডেন্টস ভলান্টিয়ারিজম অ্যান্ড ফিনালথ্রপি’ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি ওমর

ফারুকী শিপন। আজ রাষ্ট্রপতির ভবনে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকোবের হাত থেকে তিনি এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।তিনি ‘পিপলস অব গুড’-এ মনোনীত হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে প্রতিবছর ভালো কাজে সম্মান দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে, এ বছর চারটি পর্যায়ে সর্বমোট তিরিশ জনকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

‘পিপলস অব গুড’ ‘অর্গানাইজেশনস অব গুড’ ‘লিডারস অব গুড’ ও ‘স্পেশিয়াল কম্যান্ডেশন’। পিপলস অব গুড-এ ৫ জন, অর্গানাইজেশনস অব গুড-এ ৯ জন, লিডারস অব গুড-এ ৭ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বাকি ৯ জনকে ‘স্পেশিয়াল কম্যান্ডেশন’-এ ভালো কাজের সম্মানস্বরূপ দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির বিশেষ পুরস্কার।

সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গুজব ছড়াতে থাকে। ঠিক তখন এগিয়ে আসেন ওমর ফারুকী শিপন।

তিনি সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিঙ্গাপুরের দৈনিক পত্রিকা ‘স্ট্রেইটস টাইমস’, ‘সিএনএ’ ও ‘মাদারশিপ’ এসজি সংবাদপত্রের সংবাদগুলো বাংলায় প্রকাশ করতে শুরু করেন। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনও তাকে বিভিন্ন সময় তথ্য দিয়ে প্রচার করতে সহায়তা করেছেন।

ওমর ফারুকী শিপনের সত্য সংবাদে প্রবাসীদের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় তার ফেসবুক পেজে চিকিৎসক ও সমাজসেবকদের নিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

সেসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অনেক উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও প্রতিদিন তিনি ১৪০ থেকে ২০০ জন বাংলাদেশির ফোন কলে নানা সমস্যার কথা শোনেন এবং তার উত্তর দেন।

ওমর ফারুকী শিপন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম আবদুল জলীল মোল্লা ও মাতার নাম দেলোয়ারা বেগম। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বর্তমানে তার পরিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় বসবাস করছেন।

তিনি ২০১০ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান এবং এখন পর্যন্ত বহুজাতিক একটি কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। প্রবাসীদের

জীবনের ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে তার লেখা ‘Migrant life; Stories of reverist’ ইংরেজি ভাষায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়। বইটি বর্তমানে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে তালিকাভুক্ত রয়েছে।

প্রবাসীরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার কারণে সিঙ্গাপুরে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশি পেজ ও ওমর ফারুকী শিপন নামটি

প্রবাসীদের মাঝে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। ওমর ফারুকী শিপনের কৃতিত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবিষ্যতে সিঙ্গাপুরে আরও বাংলাদেশি ভালো কাজের প্রতিদান অর্জন করবে সেই প্রত্যাশা দেশটিতে অবস্থিত সকল প্রবাসীদের।